পৃথিবী আমাদের বাসস্থান, আর মহাবিশ্ব এক বিশাল রহস্যময় আকাশপটে বিস্তৃত এক অসীম জগত। এই দুটি বিষয়ে জানার আগ্রহ মানুষের আদিকাল থেকেই। বিজ্ঞানের অগ্রগতির ফলে আমরা এখন অনেক তথ্য জানি, তবে এখনও অনেক কিছু অজানা রয়ে গেছে। আমাদের আজকের আয়োজন পৃথিবী ও মহাবিশ্ব কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে
পৃথিবী ও মহাবিশ্ব সম্পর্কে তথ্য
পৃথিবী সৌরজগতের তৃতীয় গ্রহ। এটি একমাত্র গ্রহ যেখানে এখন পর্যন্ত প্রাণের অস্তিত্ব প্রমাণিত হয়েছে। পৃথিবীর ব্যাস প্রায় ১২,৭৪২ কিমি এবং এটি সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে প্রায় ৩৬৫ দিন লাগে, যা আমরা এক বছর বলে জানি।
পৃথিবীতে রয়েছে ৭টি মহাদেশ ও ৫টি মহাসাগর। ভূপৃষ্ঠের প্রায় ৭০ শতাংশই জল এবং ৩০ শতাংশ স্থল। এখানে রয়েছে পাহাড়, নদী, বন, মরুভূমি এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেন, নাইট্রোজেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইডসহ বিভিন্ন গ্যাস রয়েছে যা প্রাণধারণের জন্য অপরিহার্য।
মহাবিশ্বে কি কি আছে
মহাবিশ্ব বা ইউনিভার্স হলো সবকিছু সময়, স্থান, পদার্থ ও শক্তির সমষ্টি। এতে রয়েছে লক্ষ কোটি গ্যালাক্সি (ছায়াপথ), প্রতিটি গ্যালাক্সিতে আবার লক্ষ কোটি নক্ষত্র ও গ্রহ। আমাদের গ্যালাক্সির নাম মিল্কিওয়ে (Milky Way), আর সূর্য হলো এর একটি সাধারণ তারকা।
বিগ ব্যাং (Big Bang) তত্ত্ব মতে প্রায় ১৩.৮ বিলিয়ন বছর আগে মহাবিশ্বের সৃষ্টি হয়েছিল। এরপর থেকে এটি ক্রমাগত প্রসারিত হচ্ছে। এই মহাবিশ্বের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তের দূরত্ব এত বিশাল যে তা আলোর গতিতেও কোটি কোটি বছর লাগে অতিক্রম করতে।
মানুষ ও মহাবিশ্বের সম্পর্ক
মানুষ বরাবরই মহাবিশ্বের দিকে তাকিয়ে বিস্মিত হয়েছে — তারা নক্ষত্র দেখে দিক নির্ধারণ করেছে, গ্রহ-নক্ষত্র নিয়ে গবেষণা করেছে, এমনকি চাঁদে পা রেখেছে। আজ আমরা কৃত্রিম উপগ্রহ, মহাকাশযান, এবং টেলিস্কোপের মাধ্যমে মহাবিশ্বকে জানার চেষ্টা করছি।
পৃথিবী আমাদের জীবনের উৎস, আর মহাবিশ্ব আমাদের কল্পনার সীমাহীন জগৎ। এই দুইয়ের মধ্যে সম্পর্ক গভীর ও জটিল। প্রকৃতিকে জানলে, মহাবিশ্বকে বুঝলে আমরা আরও বিনয়ী হই এবং বুঝতে পারি আমরা কত ক্ষুদ্র অথচ কত মূল্যবান। পৃথিবী ও মহাবিশ্ব কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে তার রহস্য বিশাল থেকে বিশাল। আমাদের এই লেখাটা ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন।